অনলাইন ডেস্ক: কোনো নিরীহ জনগণ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যাপারে পুলিশ সদস্যদের সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে ‘পুলিশ সপ্তাহ’র উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
এ দিন সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা দেশের বিভিন্ন পরিবার থেকে এসেছেন। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা মানে আপনাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করা আপনাদের দায়িত্ব। আপনাদের হাতে কোনো নিরীহ জনগণ যেন নির্যাতন বা হয়রানীর শিকার না হয়। বরং কেউ হয়রানি হলে আপনারা তাদের সর্বোচ্চ সহায়তা দেবেন। এটাই আপনাদের কর্তব্য।
শান্তিরক্ষা, জঙ্গি দমন ও মাদক নির্মূলে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে তা অব্যাহত রাখার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে বহির্বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছে পুলিশ। জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের জন্য রোল মডেলে। মাদক নির্মূলে চলমান অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।
সড়ককে নিরাপদ করতে পুলিশকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ককে নিরাপদ করতে হবে। এজন্য গণসচেতনতা গড়ে তুলতে পুলিশকে ভূমিকা রাখতে হবে। যখন তখন রাস্তা পার হওয়ার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে। সেই সাথে নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে হবে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে এখন দশ লাখের উপর শরণার্থী, পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। নারী পুলিশরা গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পারছে। ৯৯৯ নম্বরে কল করে ইমার্জেন্সি পুলিশি সেবার মাধ্যমে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ডিজিটাল পদ্ধতি, অ্যাপ ব্যবহার করায় সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করা সহজ হয়েছে। মানি লন্ডারিং, সাইবার ক্রাইম দমনে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটা অব্যাহত রাখতে হবে।
পুলিশের জন্য তাঁর সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ১১ হাজার ৯০০ টি পদ সৃষ্টি করেছিল। ২০০৮ সালের পর আমরা প্রায় ৯১ হাজার পুলিশের পদ সৃষ্টি করেছি ও নিয়োগ দিয়েছি। মানুষের সেবা পাওয়া সহজ হয়েছে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে জটিলতা অবসান হয়েছে। এসআই-সার্জেন্টদের পদকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করেছি।