চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নে সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মহিলা পুরুষসহ ৬ জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে।
চান্দ্রা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ মদনা গ্রামের বেপারী বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় বিল্লাল বেপারী, শাহাদাত বেপারী, ওপু বেপারী, সুফিয়া বেগম, ইউনুস বেপারী, শাহিন বেপারিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
দক্ষিণ মদনা গ্রামের রোজিনা বেগম, খুকি বেগম ও মনু মিয়ার মালিকানাধীন ৬৭ শতাংশ জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত জাহাঙ্গীর রাঢ়ি, সোহাগ রাঢ়ি গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।
সেই জায়গা জোরপূর্বক দখল নিতে জাহাঙ্গীর রাঢ়িরা দলবল নিয়ে গত সোমবার দুপুরে ও রাতে দুই দফা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
এ সময় সুফিয়া বেগমকে লাঞ্চিত করে বিলাল বেপারি সহ ৬ জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়।
এলাকাবাসী জানান, গত সাত বছর পূর্বে রোজিনা বেগম, খুকি বেগম ও মনু মিয়া এলাকার খাজা আমাদের কাছ থেকে ৬৭ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে।
এই সম্পত্তি ১৯৩৩ সালের পেটি রেকর্ড ,১৯৬২ সালে এস এ রেকর্ড অনুযায়ী চৌধুরীরা মালিক ছিলেন।
পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে বি এস রেকর্ড অনুযায়ী সহীদুল্লাহ চৌধুরী মালিক হন।
সেই সম্পত্তি শহীদুল্লাহ চৌধুরী কাদির গাজীর কাছে বিক্রি করেন। পরে কাদির গাজী সেই জায়গা খাজা আহমেদের কাছে বিক্রি করেন।
খাজা আহমেদ সাত বছর পূর্বে সিএস ১৫১৯ দাগে ৬৭ শতাংশ জায়গা রোজিনা বেগম, খুকি বেগম ও মনু মিয়া গংদের কাছে বিক্রি করে।
কিন্তু ১৯০৬ সালের সিএস ১৮২ নং খতিয়ানের ১৫১৯ দাগে রেকর্ড দেখিয়ে সম্পত্তি ১৯১৭ সালের বাচ্চু রাঢ়ি বাদী হয়ে ল্যান্ড সার্ভে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৯২৫/১৭। কিন্তু বাদি পক্ষের সেই জায়গায় দখল নেই।
সেই মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও পেশী শক্তি ব্যবহার করে সম্পত্তির মালিক ও দখলদারদের উপর এই সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
সম্পত্তির মালিক রোজিনা বেগম জানান, আমার ১০ নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বাসিন্দা দিলাম। নদী গর্ভে জায়গা বিলীন হয়ে যাওয়ার পরে দক্ষিণ মদনা গ্রামের খাজা আহমেদের কাছ থেকে জায়গা কিনে বাড়ি ঘর করে বসবাস করছি। প্রতিপক্ষরা ভুয়া কাগজ দেখিয়ে সম্পত্তি নিজেদের দাবি করে দখল করার চেষ্টা করেন। গত ৩০/৩/২০২০ সোমবার জাহাঙ্গীর, সোহাগ, মামুন, শামীম, কালু, মানিক ,আলী আহমেদ, বাবু ,অলি, আলমগীর রাঢ়ি, সাজুদা বেগম ও খুশিদা বেগম দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে আহত করেন।
সোমবার রাতে সোনা মিয়ার ছেলে সোহাগের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা মদিনা মার্কেট ইউনুস বেপারির মুদি দোকানে ঢুকে কেশ থেকে ১ লক্ষ ৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ে ও লুটপাট করে।
সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে পুনরায় অসহায় পরিবারকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
পুলিশ প্রশাসন অতি দ্রুত এই হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।