চাঁদপুর পৌরসভার বাবুরহাট ১৪ নং ওয়ার্ড শিলন্দীয়া গ্রামে মৈশাদী ইউনিয়নের মেম্বার হাকিম মিজীর নেতৃত্বে চলছে জমজমাট দেহ ব্যবসা।
শিলন্দীয়া গ্রামে সাবেক এমপি মৃত হারুনুর রশিদ খানের বাউন্ডারি সীমানার পাশে পতিতার সরদার কাশেম মিজী দীর্ঘ এক বছর যাবত টিনের ঘর ভাড়া নিয়ে পতিতা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
মৈশাদী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার হাকিম মিজীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থেকে দালাল কাশেম মিজীকে দিয়ে জমজমাট দেহ ব্যবসা করে আসছে।
শুক্রবার বিকেলে বহিরাগত থেকে আসা বেশ কয়েকজন পতিতাদের ঘরে এনে দালাল কাশেম দেহ ব্যবসা চালিয়ে যায়।
এ সময় অনৈতিক কার্যকলাপ করার সময় স্থানীয় এলাকাবাসী দালাল কাশেম
মিজীর বাড়িতে গিয়ে হানা দিয়ে পতিতা ও খদ্দর হাতে নাতে আটক করে।
তাৎক্ষণিক দালাল কাশেমকে রক্ষা করতে ভিতরের কক্ষ থেকে বিব্রতকর অবস্থায় ইউপি মেম্বার হাকিম মিজী বেরিয়ে এসে পতিতা ও খদ্দেরদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, বাবুরহাট দাসদী ওয়াই বাবুর দিঘির পাড়ে ইদ্দিসের ছেলে দালাল কাশেম মিজি তার এলাকায় পতিতা ব্যবসা করার সময় এলাকাবাসী গণধোলাই দিয়ে তাকে এলাকা থেকে তারিয়ে দেয়।
কাশেম এলাকার সম্পত্তি বিক্রি করে শিলন্দীয়া গ্রামে ফরজ চৌধুরীর চৌচালা টিনের ঘর ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
আর এই ব্যবসার টাকা ওয়ার্ড মেম্বার হাকিম মিজীসহ কাশেম ভাগবাটোয়ারা করে নেয়।
কাসেম মিজির ৩ ছেলে মোবারক, সোহাগ,মিরাজ সহ সপরিবারে এই পতিতা ব্যবসার সাথে জরিত রয়েছে।
কাসেমের দুই ছেলে সিএনজি অটোরিক্সা দিয়ে পতিতাদের তার বাড়িতে আনা নেওয়ার কাছে থাকে।
এলাকাবাসী বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও মেম্বার হাকিম তাদেরকে সেন্টার শেল্টার দেওয়ার কারনে তারা এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে মেম্বার হাকিম গাজী জানান, কাশেম এক বছর পূর্বে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছে। তাকে ঘরটি আমি নিজেই ভাড়া নিয়ে দিয়েছি। তার ঘরে দেহ ব্যবসা করে তা সবাই জানে এবারের জন্য তাকে ক্ষমা করে দেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত কাশেম মিজি জানান, পেটের দায়ে এই সব কাজ করছি। যার প্রয়োজন হয় তাকেই এনে দিচ্ছি। তবে এবার আমাকে মাফ করে দেন আর কোনদিন এরকম কাজ করবো না।
এদিকে পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডে বাসা ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ায় এলাকা যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বহিরাগত এলাকা থেকে যুবক-যুবতীরা কাশেমের বাড়িতে গিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ করে আসছে।এদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এই এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে।