তৃতীয় দাফে শুরু হয়েছে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে পৌরসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। পুরুষ ও মহিলা ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেখা যায়। নির্বাচনে মেয়র পদে ২ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫২ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সকাল থেকেই সুষ্ঠুভাবে সবগুলো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও কয়েকটি কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
হাজিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বলাখাল জে এন উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে তিনবার ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হওয়ার ঘটনায় কেন্দ্রটি সাময়িকভাবে ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান পৌর মেয়র আ. স. ম মাহবুব-উল আলম লিপন (নৌকা), বিএনপি মনোনীত সাবেক মেয়র আলহাজ¦ আবদুল মান্নান খান বাচ্চু (ধানের শীষ) দু’জনেই জয়ী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আ. স. ম. মাহবুব উল আলম লিপন বলেন, আমি গত ৫ বছর হাজীগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়ণে কাজ করেছি। করোনাকালিন সময়ে নিজের জীবনবাজি রেখে মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। আমার বিশ্বাস পৌরবাসী আমার পক্ষে রায় দিবেন।
এদিকে, বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবদুল মান্নান খান বলেন, বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। প্রতিপক্ষরা ভোট কেন্দ্র দখল করে আমাদের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আমি নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণাও দিব।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, নির্বাচনি পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। যেকোন উদ্ভুট পরিস্থিতিতে আমরা কঠোর হবো। পৌরসভার প্রতি ৩টি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। একই সাথে ২ প্লাটুন বিজিবি, ২ প্লাটুন র্যাব ও স্ট্রাইকিং ফোর্স রয়েছে।
হাজীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে ১২টি ওয়ার্ডে মোট ভোট কেন্দ্র ২০টি। ভোট কক্ষ ১২৮টি এবং অস্থায়ী ভোট কক্ষ ১৯টি। ভোটার সংখ্যা ৪৫ হাজার ৩শ ৪৮জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২২হাজার ৯৫৫ জন এবং মহিলা ভোটার ২২ হাজার ৯৩৩ জন।
শাহরিয়ার খান কৌশিক,মোঃ,০১৭১৩৬৮৮৯২০