ব্য়া়া়া়়া়া়া়া়া়া়়্্য্য়া্য়্য়া়া
রিপোর্টারঃ মোঃ হাসান মিয়া
INN24BD.COM
জনবল সংকট কাটাতে ১০ থেকে ১২ হাজার লোক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে । লোকবল সঙ্কটের কারণে বর্তমানে ১৩৭টি স্টেশন বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সঙ্কট রয়েছে স্টেশন মাস্টার, লোকো মাস্টার এবং গার্ডের। নতুন লোকজন নিয়োগ হলে বন্ধ স্টেশনগুলো চালু হবে বলে জানান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগের এক কর্মকর্তা। নতুন ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মধ্য দিয়ে রেলওয়ের দীর্ঘদিনের জনবল সংকটের অবসান হতে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
রেলওয়ের জনবল সঙ্কটের ব্যাপারে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, জনবল সংকট কাটাতে আমরা প্রথম ধাপে ১০ থেকে ১২ হাজার লোক একসঙ্গে নিয়োগের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। নিয়োগের জন্য এ মাসেই বিজ্ঞপ্তি দেয়া হতে পারে বলে জানান মন্ত্রী । মন্ত্রী বলেন, নিয়োগ দেওয়ার পর তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া দেব। আমরা আশা করছি, আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে রেলের লোকজন ঘাটতির অভিযোগ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারব ইনসাআল্লাহ্ । রেলের অবকাঠামোতেও ঘাটতি আছে জানিয়ে সুজন বলেন, রেলের সব ডাবল লাইন না হওয়া পর্যন্ত রেলের নিরাপত্তা ঝুঁকি থেকেই যাবে। ট্র্যাকগুলোর আরো আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। আমরা রেলের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। অজুহাত নয় বাস্তবতা , দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি জানান, স্টেশনগুলোতে পরিবেশ বান্ধব ওয়াশ পরিষেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ইতোমধ্যে রেলওয়ে এবং ওয়াটার এইডের মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। কমলাপুর স্টেশনে দুটি প্রকল্প নিয়েছি, সেখানে থেকে ধীরে ধীরে তা অন্য স্টেশনগুলোতেও নিয়ে যাওয়া হবে।
রেলওয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ট্রেন চলাচলের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত জনবলের বড় সংকট রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়েতে। বিদ্যমান ৪০ হাজার ২৭৫টি পদের মধ্যে চলতি বছর জুন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৩৫০টি পদ শূন্য ছিল। জনবলের অভাবে বন্ধ রয়েছে প্রায় শতাধিক রেল স্টেশন।
আরও জানা গেছে, উন্নয়ন প্রকল্প এবং আইসিটি সম্পর্কিত বিষয় দেখাশোনার জন্য নতুন দুটি শাখাযুক্ত করে তৈরি করা হচ্ছে রেলের নতুন অর্গানোগ্রাম। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনও পাওয়া গেছে।
নতুন অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী রেলের মোট জনবল হবে ৪৭ হাজার ৬৩৭ জন। যা বিদ্যমান পদের চেয়ে সাত হাজার ৩৬২টি বেশি। তবে রেলের গতিকে সচল রাখতে এবং যাত্রী সাধারণের সেবার মান বৃদ্ধির জন্য নতুন লোকজন খুবই দরকার বলে জানান রেল ভবনের ওই শীর্ষ কর্মকর্তা।