দীর্ঘ ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো বন্ধ হয়নি চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ বেগমগঞ্জ সড়কের চাঁদপুর ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিত চাঁদপুর সেতুর টোল আদায়।
টোল আদায়ের মেয়াদ শেষ হলেও আবারো এবছর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্ণফুলী এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এককভাবে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে আগামী তিন বছরের জন্য ইজারা নেওয়ার পাঁয়তারা করছে।
চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-রায়পুর সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালকরা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদপুর সেতুর টোল আদায় বন্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছেন। টোল আদায় বন্ধে চালকরা মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করলেও তা কার্যকর হচ্ছে না।
সেতু নির্মাণ ব্যয়ের ২গুন অর্থ এরইমধ্যে উত্তোলন হলেও টোল আদায় বন্ধ না হওয়ার রহস্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
টোল আদায় বন্ধে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন চালকরা। রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় ও প্রশাসনের দুর্বল মনিটরিংয়ের জন্যে এ সেতুটির টোল আদায় বন্ধ হচ্ছে না বলে দায়ী করছেন ভুক্তভোগীরা।
২০০৪-৫ অর্থবছরে ১৮ কোটি ১২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২৪৮ মিটার দৈর্ঘ্যের চাঁদপুর সেতু নির্মাণ করা হয়।
মেসার্স কর্ণফুলী এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিবছর টোল আদায়ের ইজারা নেয়।
নিয়ম অনুযায়ী যেই হারে টোল আদায়ের কথা রয়েছে তার চেয়েও অধিক টাকা টোল আদায় করছে বলে চালকরা অভিযোগ করেন।
চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ ৩ আসনের এমপি ড.শামছুল হক ভূঁইয়া জেলা আইন-শৃঙ্খলা মিটিংয়ে ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় টোল আদায় বন্ধের জন্য দাবি উত্থাপন করেন।
তার পরেও সেই দাবি কার্যকর না হয়ে পুনরায় ২০২১ সাল থেকে তিন বছরের জন্য কর্ণফুলী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চাঁদপুর সেতুর টোল আদায়ের অনুমতি দেওয়ার প্রক্রিয়া করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ।
এবছর এ সেতুটির টোল আদায় বন্ধ না হলে এসব যানবাহনের চালকরা সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকবে বলে জানিয়েছেন। এতে করে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
যানবাহন চালকরা জানান, যতোবারই সেতু দিয়ে আসা-যাওয়া করা হয় ততোবারই তাদেরকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। ইজারাদারের লোকজন সরকারি নিয়ে রাজনীতি উপেক্ষা করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার কারণে চালকদের সাথে প্রায়ই ঝগড়া হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
চাঁদপুর সেতুর চেয়ে বড় সেতুর টোল কম নেয়া হয়। অনেক সেতুতে তো টোল আদায় বন্ধই রয়েছে। এ সেতুর টোল বন্ধ হলে আমাদের খরচ অনেক কম হতো।
যাত্রীরা বিভিন্ন পেশার মানুষ জানান, ভাড়া বেশি আদায় করার বিষয়টি নিয়ে প্রায় চালকরা খারাপ আচরণ করে থাকে।
এ বছরে যেন চাঁদপুর সেতুর টোল আদায় বন্ধ করা হয় আর না হলে চালকদের সাথে যাত্রীরাও কঠোর আন্দোলনে রাস্তায় নামবে।
শাহরিয়ার খান কৌশিক, মোঃ,০১৭১৩৬৮৮৯২০